আবার প্রশ্ন
কেনো আবার ভুল করে প্রশ্ন জাগলো-
তুমি কি আছো?
আকাশের গা রঙিন হয়ে উঠলেই;
মেঘ ঘণ কালো হলেই;
পাতা থেকে এক ফোটা জল ঝড়ে পড়লেই;
পাখি ডাকলেই; অশান্ত মন কিছুটা স্থির হলেই-
গভীর বেদনার সুরে
মুক্তির দেবার ত্বরে
কেনো আবার ভুল করে প্রশ্ন জাগলো-
ওহে! তুমি কি আছো?
কেনো আবার ভুল করে-
মুক্ত হাওয়ার-
ডগায় ডগায় ছুটে ছুটে জাগলো
ক্ষীণ আলো আরও গোপন করে
মিটিমিটি জ্বলে জ্বলে
বিজলির সমন ক্ষীণ হয়ে আবার বললো-
তুমি কি আছো?
হাজারো কলরবে হুলুস্থুল।
ক্ষীণ শব্দটাও একাকার।
কোন খেয়াল ছেড়ে; কোন খেয়ালে দিশেহারা।
মুক্তির দিশাটাও মুক্ত হয়ে গিয়েছে।
ঠিক তখনও ঘন মেঘের আড়াল থেকে
এক চিলতে আলো বিদীর্ণ হয়ে লুকিয়ে গেলো।
সেই আলো আর দেখা দিলো না।
শেষে, রাতের আঁধারে মেঘটাও ডুবে গেলো।
সেই দানব রূপি আঁধারের আকাশেও
ভেংচি দিয়ে উঠলো এক বিন্দু আলো।
আবার লুকালো। আবার লুকালো।
আমি তো ওদিকটায় চাই নি!
তখন তো সে খেয়ালে আমার কোনো ধামা নেই!
তবে ভুল করে কেনোই বা চোখ ফেরা?
কেনো অমন খেয়াল আমার অন্তর আকাশে?
পথের ধারে যে ফুলটি ফুটে আছে।
তা দেখে, কেন প্রশ্ন জাগলো
হৃদয় গভীরে কেন আবিষ্ট হলো-
ওর হাসি মাখা মুখের উপর
আলোর খেলা কেন?
সকল ছোঁয়া মিটে গিয়ে কেন জাগলো;
কেনো আবার ভুল করে প্রশ্ন জাগলো-
তুমি কি আছো?
কেনো আবার ভুল করে প্রশ্ন জাগলো-
স্বাভাবিক ঢেউয়ে কোন আলো
ঝিলিক দিয়ে
ভিরু অবাধ্য অন্তর প্রশ্ন করে বসলো;
যে অন্তর তোমাকে ভুলে গিয়েছে-
তবুও কি তুমি আছো?
–
আবার প্রশ্ন
তারিকুজ্জামান তনয়
৪ঠা জানুয়ারী’২০২৪
ঢাকা।