এক রাতে | তারিকুজ্জামান তনয় |
🌙 এক রাতে
বিদঘুটে অন্ধকার।
চাঁদ আর তারাগুলো যেন কুটুমবাড়িতে গিয়েছে আজ।
আমরা দু’জনে হেঁটে চলছি মেঠোপথ ধরে।
নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য নেই, তবুও হেঁটে চলা।
হৃদয় নিংড়ে কিছু প্রেমালাপ—
ঠিক আমারও, আর তারও।
‘গোলাপের কলি যেমন তার হৃদয়কে চিরে
হাসিমুখে ফুটে ওঠে, আর সুগন্ধ বিলায়— ঠিক তেমনই।’
‘আকাশের বুকে অসংখ্য তারারা মিটিমিটি করে জ্বলছে।
তারাগুলো আকাশের অসংখ্য স্পন্দনের ঝিলিমিলি সাড়া।
তুমি বললে— তোমার এ হৃদয়টা ঠিক ওই আকাশ;
হৃদয়ের সকল স্পন্দন ওই তারাদের মতোই মায়াময়—
যা শুধুই, শুধু আমাকে ঘিরে।
এই ভালোবাসাটুকু চুমিয়ে নেয়
বর্ণময় হৃদয় থেকে— এই মায়াবী আঁধারের দিকে।’
কথা শেষ হতে না হতেই আরও কাছে এসে
আঁৎকে উঠে বললে—
‘তোমার ওই মুখখানি খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।’
হেসে বললেম— ঠিক আমারও একইরকম ব্যঞ্জনা!
ওটুকুই তো বদন;
গোলাপরঙা ঠোঁট প্রসারিত হয়ে—
শুভ্র ধবল দন্তগুলো হাসির অবয়বে ভেসে ওঠে।
কাজল কালো চোখ,
কাঁশফুলের ঢেউয়ের মতো শুভ্র সুন্দর কালচে ভ্রুযুগল,
প্রসারিত কপোল,
মেঘের কাছ থেকে চেয়ে আনা অনন্য সুন্দর কেশ— তার।
“এ-ই-তো!”
এই বিদঘুটে আঁধারে—
মন আজ, এ কোন পাগলামি চেপেছে দুজনার!
চেনা মুখখানি দেখিবার মাদকতার রসে
আকুল করছে কেবল।
আকাশ জুড়ে মেঘ ছিলো; ছিলো আঁধারে লুকিয়ে।
দু’জনার প্রেমলীলায়—
প্রকৃতিও ছিল বুঝি গোপন গোপনে উন্মাদে!
বিকট গর্জনে বিদ্যুৎ উঠলো চমকি—
তীক্ষ্ণ আলোয় ছটকে গেলো আঁধারি।
ক্ষণিক ত্বরে প্রকাশিত হলো বদন, খালি ঝলকায়ে!
চোখে চোখ পড়ল ফুরিয়ে যাবার চঞ্চলে।
এতে, প্রকাশিত হলো বদনখানি, তেমনি আমারও!
এই ক্ষণে দু’জনার প্রাণিত রসে, তেমনি—
প্রকৃতিও মধুর লীলায় মত্ত হলো।
ক্ষণিক তবুও—
আলিঙ্গনভরা দ্ব্যর্থ কণ্ঠে শুধালেম পরস্পরায়—
‘ভালোবাসি তোমায়।’
✍️ তারিকুজ্জামান তনয়
১৫ই আশ্বিন, ১৪২৯
📍 মিরপুর, ঢাকা
ওটুকুই তো বদন; গোলাপরঙা ঠোঁট প্রসারিত হয়ে–
🩷