অব্যক্ত প্রেম
আমি যার বাঁশির সুরে কাঁদি,
সে রাখাল বাঁশি বাজিয়ে কাঁদে কি?
করুণ করে বাজাও তুমি, ডাক মমতায়,
সুর যেন লাটাইয়ের সুতা, প্রাণে লাগে মরণের টান।
ও রাখাল তোমার পদ চুম্বন করি, বাঁচাও প্রাণ,
ঘরের দুয়ার দিয়া রাখতে না পারি, যায় মান।
কলসি কাঁখে বহি জল ভরিবার আশে,
মরার কোকিল কেন ডাকে ডালে ডালে।
ওরে সখী করিস এ কেমন তামাশা,
তারে বলেছিনি মোর ভালোবাসা।
গাছের সজীব পাতা ক্রমে ক্রমে শুকিয়ে মরে,
অব্যক্ত প্রেম কুঁরে কুঁরে পুড়ে, জ্বলে।
ও রাখাল বাঁশি বাজিয়ে কি সুখ পাও,
আমাকে তুমি ছিন্ন-ভিন্ন করে নাও।
আমারি আশে তুমি করিছ কী খেলা,
লহ মোরে লুটে, নাকি মনে অন্য রেখা?
–
অব্যক্ত প্রেম
তারিকুজ্জামান তনয়
৩০ আগস্ট’ ২০১৮. সকাল (বাসা), ময়মনসিংহ।
অব্যাক্ত প্রেম কবিতাটির নেপথ্যেঃ
ব্যক্ত শব্দের বিপরীত অবস্থান হল-অব্যক্ত। অর্থাৎ যে/যাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। এমন প্রেম যা সব কিছুর সাথে তুলনা করা যায়। যেমন- আগুনের সাথেও ঠিক তেমনি পানির সাথেও। এই কবিতাটির মাঝে রয়েছে-
১। হতাশা
২। যন্ত্রণা
৩। মুক্তি পাওয়ার ব্যাকুলতা,
৪। প্রকৃতির শূণ্যতা,
৫। বন্ধুদের রস বোধ,
৬। উপমা,
৭। মনে মনে সমর্পণ
এবং
৮। অশনি সংকেত।