তাকে দেখে
এ চোখ কত কিছুই তো দেখলো; আবার-
সবকিছু মুছে ফেলে দিলো পলক ফেলে।
ঠিক পলক ফেলে প্রায় সবকিছু মুছে দিয়ে গেলেও
কেবল, একটা মুখ প্রতি পলকে পলকে
গেঁথে দিয়ে গেলে হৃদয়ের গহীনে– মজিয়ে।
চলার পথে হরেক রকম মানুষ,
নানান জাতের গাছ-গাছালি,
ঘরবাড়ি, নদীনালা সহ আরও কতই না–
ওই নীল আকাশটাও নানান কারুকার্যে সেজে
চোখের দৃষ্টির সাথে কতই না মিতালী গড়েছে– হায়।
এই সরল দৃষ্টিকে হাসালো, ভাসালো;
এ চোখ মুদিয়া মুদিয়া ফুটিয়া আবার
মিটিয়া লইলো তৃষ্ণা কতই।
কতই না দেখলো ভোর, শোনলো মধুর সুর!
এর থেকে কিছু হৃদয়ে এসে বিদ্ধ হলও;
ডালপালা ছড়ালও।
কিন্তু আত্মার আত্মা দক্ষিণা সমীরণে
বিচলিত হলো না কিছুতেই।
কেবল এ চোখ সেই ঘুমটা পড়া ছবিখানা
ভাসিয়ে লয়ে রইলো দৃষ্টির সীমানা জুড়ে
সবটার সাথেই মিশে মিশেই।
এ দৃষ্টি কেবলই সেই মুখটাকেই খুঁজে ফিরে।
সে মুখটাই, পবিত্র ফুলের মাধুর্য ছড়িয়ে
প্রাণের মুখে প্রশান্তির শান্তি গেঁথে দিয়ে যায়
-কেবল।
তাকে দেখে
তারিকুজ্জামান তনয়
জানুয়ারী’২০২৪