তুমি বিক্ষিপ্ত কেউ
আর আকাশ তুমি এভাবেই বিক্ষিপ্ত!
আলুথালু মেঘ তোমার প্রান্তর জুড়ে।
কখনো সাদা, কখনো ঘন কালো;
বয়ে চলা, থেমে থাকা- কত কী!
দিনের বেলায় তুমি বিস্তীর্ণ সীমারেখাতে আঁকা;
রঙবেরঙের নানান রং তোমার অঙ্গে সাঁজা!
আর রাত্রিতে, তুমি একাই এক স্বর্গরাজ্য!
এই আমাকে, ঐ তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় আঁধার।
অথচ আকাশ তারকারাজির ক্ষীণ আলো ছড়িয়ে
ভালোবাসা প্রকাশ করে বলে- এই আছি।
আর আকাশ, আর তুমি এভাবেই বিক্ষিপ্ত!
বিশৃঙ্খল কেশ উড়িয়ে সুবাস ছড়িয়ে দাও অজানার উদ্দেশ্যে।
বিচলিত সমীরণ ছুটে ছুটে উতল হয়ে বলে- তারে কোথায় পাবো?
তুমি ফুলের পানে চাও, ফুল হেসে উঠে;
তুমি পাখির কাছে মনের কথা বলো- সে গেয়ে উঠে!
তুমি মুষ্টি করে বসে থাকো, কখনো চঞ্চল;
কখনো অনেক কথা বলো, আবার চুপটি!
আলুথালু পড়া ঐ শাড়ির আঁচল স্পর্শে-
ধনী হয় ঐ সবুজ মাঠ, রোদ, বাতাস আর তুমি!
প্রশ্ন হয়, ঐ আকাশ, এই তুমি- কেন! কেন এত বিক্ষিপ্ত?
তবে কি, তোমার হৃদয় ঊঁতলে উঠা কথা-
আড়ালে পড়ে থাকুক বিক্ষিপ্ততার ভাঁজে ভাঁজে!
সকল রং আঁড়ালে থাকুক এক ফুটা অশ্রুর নিরবতা-তে।
আর আকাশ, আর তুমি বিক্ষিপ্ত!
–
তারিকুজ্জামান তনয়
ঢাকা। ১৮ নভেম্বর’২০২৪
—**—